বিতর্কে বিরষা মুন্ডার মূর্তি : ৫০ হাজার পোষ্ট কার্ডে অমিত শাহকে চিঠি দিচ্ছেন আদিবাসীরা

17th November 2020 6:40 pm বাঁকুড়া
বিতর্কে বিরষা মুন্ডার মূর্তি : ৫০ হাজার পোষ্ট কার্ডে অমিত শাহকে চিঠি দিচ্ছেন আদিবাসীরা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  বিরষা মুণ্ডার মূর্তি বিতর্ক অব্যাহত বাঁকুড়ায়। এবার ফের নতুন করে মূর্তি বিতর্ক উস্কে দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ্কে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে আদিবাসী সমাজের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার চিঠি পাঠানো হচ্ছে।  মঙ্গলবার এই খবর জানালেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার ছেলে মেয়েরা মঙ্গলবার থেকেই এই চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ির ঠিকানায় পাঠাচ্ছেন বলে তিনি জানান। গত ৫ ই নভেম্বর বাঁকুড়ায় দলীয় কর্মসূচীতে এসে বিরষা মুন্ডার মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । ওই মূর্তি আদৌ বিরষা মুন্ডার নয় । মূর্তিটি আদিবাসী শিকারীর বলে পরদিন থেকে ই প্রচারে নামেন তৃণমূল কর্মীরা । এমনকি অমিত শাহ যেখানে এসেছিলেন সেই মূর্তি সংলগ্ন এলাকাকে দুধ ও গঙ্গাজল ঢেলে শুদ্ধিকরণ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব । তারপরেও বিরষা মুন্ডার মূর্তি নিয়ে অব‍্যাহত টানাপোড়েন । এবার সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েই অমিত শাহকে প্রতিবাদ পত্র পাঠাচ্ছেন আদিবাসীরা । ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানাচ্ছেন আদিবাসী মানুষজন । যদিও বিজেপি এই বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ । 

  





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।